এবার কক্সবাজারের ইনানী সৈকতে ঘূর্ণিঝড় ‘দানা’র প্রভাবে সৃষ্ট প্রবল ঢেউয়ে ইনানী জেটির একটি অংশ ভেঙে গেছে। পর্যটকদের জন্য নির্মিত এই জেটি ছাড়াও উত্তাল ঢেউয়ে আশপাশের এলাকার অবকাঠামোতেও ক্ষতির আশঙ্কা রয়েছে বলে জানিয়েছেন স্থানীয়রা।
গতকাল বুধবার (২৩ অক্টোবর) গভীর রাতে কোন এক সময় ইনানী সমুদ্র সৈকতে এ ঘটনা ঘটে। জানা যায়, ২৬ দেশের নৌ- বাহিনী ইনানীতে ভিড়া ও নৌ মহড়ার কথা বলে সাগরকে দ্বিখন্ড করে জেটিটা স্থাপন করা হয়েছিল। ২০২৩ সালে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জেটিটি উদ্বোধন করেছিলেন। তখন জানানো হয়েছিল উদ্বোধনের পর ওই জেটি সরিয়ে নেয়া হবে।
সূত্র জানিয়েছে, মহড়াতো দূরের কথা, বিদেশি নৌ-বাহিনীর কর্মকর্তাগণও ইনানীতে আসেননি। পরবর্তিতে এক জাহাজ মালিক নিজ স্বার্থ হাসিলকল্পে ওই জেটিটা ভাড়া নিয়ে সেখান থেকে তাঁর জাহাজে করে যাত্রী তথা পর্যটকদের সেন্টমার্টিনে যাওয়া-আসা করার সুযোগ করে দিয়ে হাতিয়ে নিয়েছেন অঢেল টাকা।
উল্লেখ্য, ওই জেটিতে চিঁড়া জালে আটকা পড়ে বিভিন্ন প্রজাজির লাখো পোনা মারা পড়েছে বলে জানিয়েছেন তৎকালীন সমুদ্র গবেষণা ইনস্টিটিউটের বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা। বাংলাদেশ পরিবেশ আন্দোলন (বাপা) কক্সবাজার জেলা কমিটির সভাপতি এইচএম এরশাদ ও সাধারণ সম্পাদক করিম উল্লাহ কলিম বলেন, মনুষ্যজাতি প্রাণ প্রকৃতি ধ্বংসের বিচার না করলে, মহান আল্লাহ প্রকৃতির মাধ্যমে এইভাবে বিচার করে। প্রকৃতির সঙ্গে যুদ্ধ চলে না এবং ভবিষ্যতেও চলবে না।
তিনি আরও বলেন, পরিবেশের ক্ষতিকর এই জেটি সরিয়ে নিতে আমরা বাংলাদেশ পরিবেশ আন্দোলন (বাপা) কক্সবাজার জেলা কমিটির নেতৃবৃন্দ সাবেক ডিসিকে অনুরোধ করেছিলাম, তিনি কোন ভূমিকা রাখেন নি। পরবর্তীতে এই জেটি ব্যক্তি স্বার্থে ভাড়ায় পরিচালিত হয়েছে। পরিবেশ ও প্রাণ প্রকৃতি রক্ষার স্বার্থে এই জেটিটা ভেঙে ফেলা জরুরি বলে মনে করেন পরিবেশবাদী নেতারা।